শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
আনন্দবাজারের চোখে ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার সেই নালিশ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করে প্রিয়া সাহা বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ গুম হয়ে গেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও খবর প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে লিখেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাও। ২১ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা লিখেছে:
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা বলতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দরবারে। ঢাকার প্রিয়া সাহা সেখানে যে দু’তিনটি কথা বলতে পেরেছেন, তা নিয়ে বাংলাদেশ তোলপাড়। শাসক আওয়ামি লীগের সমর্থকেরা শনিবার ঢাকায় তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এটা সরকারকে বদনাম করার বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছেন, প্রিয়া দেশে ফিরলে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে, কী উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেছেন। এমনকি যে ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’-এর অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা, সেই সংগঠনও তার বক্তব্যের দায় নিচ্ছে না।
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের আলোচনাচক্রে যোগ দেওয়ার পরে বিভিন্ন দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের যে প্রতিনিধি দল হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান, বাংলাদেশের প্রিয়াও তাতে ছিলেন। ট্রাম্প জানতে চান, কারা এই নির্যাতন করে। প্রিয়া বলেন, এরা মুসলিম মৌলবাদী। কিন্তু সব সময়েই তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে যায়। এর পরে অন্য দেশের প্রতিনিধিরা একে একে তাদের সমস্যার কথা জানান। কিন্তু ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগ ওঠে, সরকারকে বদনাম করতে তিনি এই কাজ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রিয়ার বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে বর্ণনা করেন। তার মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে বলে, প্রিয়ার অভিযোগ কল্পিত ও বানানো।
শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয়ার কাজ শুধু নিন্দনীয় অপরাধই নয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মতলববাজ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সাহায্য করবে।
তিনি প্রিয়ার এই কাজকে দেশদ্রোহী বলে বর্ণনা করে জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও।
এই নিয়ে বিতর্ক শুরুর পরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারও বিবৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা উদাহরণ হতে পারে।
হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রিয়া আমাদের ১১ সাংগঠনিক সম্পাদকের এক জন হলেও তার বক্তব্য একান্তই নিজস্ব। সংগঠন স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর