২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরই ফলন ভালো না হওয়ায় হতাশ চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরই ফলন ভালো না হওয়ায় হতাশ চাষিরা

কয়েক বছর আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান-সবজি বাদ দিয়ে বরই (কুল) চাষে অনেকেই লোকসানের আশঙ্কায় প্রথমে পা বাড়াতে চাননি। ফলে তখন গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় বরই চাষ শুরু করেন ১০/১২ জন চাষি। তখন ফলন ওঠার পর সবার মুখে হাসি থাকতো। ফলন-দাম দুটোই ভালো পাওয়া যেতো। কিন্তু গত বছর থেকে তার উল্টো চিত্র ঘটছে। গত বছর এবং চলতি বছর ফলন কম হওয়ায় অব্যাহত লোকসানের কারণে এখন হতাশায় ভুগছেন বরই চাষিরা। 

গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বরই চাষি তোফায়েল আহমেদ তোফায়েল আহমেদ জানান, গত তিন বছর আগে ৭ বিঘা জমিতে উন্নতজাতের বলসুন্দরী, বেবীসুন্দরী ও সুন্দরী নরই চাষ করে বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ হারে ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। গতবছরের পেয়েছিলেন ১০ মণ করে। এ বরই বাগান রোপণ ও পরিচর্যায় বিঘা প্রতি গত এক বছরে খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এবার ফলন ভালো হয়নি। ইতিমধ্যে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মণ করে বরই বিক্রি করা হয়েছে। গত বছর ৫ বিঘাতে তার ৫ লাখ টাকা আয় হয়েছিল। তবে এবার ফলন কম হওয়ায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় হওয়ার আশা করছেন তিনি। এবার আবহাওয়ার কারণে বরই বেশি না হওয়ায় হতাশার পড়েছেন তিনি। ফলে বর্তমানে বরই চাষের চেয়ে ধান চাষ লাভজনক হওয়ায় তিনি তার ২ বিঘা জমির বরই গাছ কেটে ধান চাষ করছেন। একই কথা জানালেন নাচোল উপজেলার নেজামপুরের বরই চাষি মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এবার আওয়ার কারণে ফলন কম হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তিনি। আগামীতে তিনি বরই বাগান কেটে ফেলে ধান চাষ করবনে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় প্রায় আড়াই’শ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে। এদিকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহিম আলী বলেন, এ অঞ্চলের মাটি বরই চাষের জন্য উপযোগী। কিন্তু গতবছর থেকে নায্যমূল্য ও আবহাওয়ার কারণে বরই চাষে লোকসান গুনছের চাষিরা। এছাড়া গত বছর থেকে ধানের দাম বেশি থাকায় চাষিরা বরই গাছ কেটে ধান চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলেও জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

সর্বশেষ খবর