৪০ কেজিতে এক মণ হলেও আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মণ ধরা হচ্ছে ৫২ কেজিতে। দেশের বৃহৎ আম বাজার কানসাটসহ জেলার অন্য দুই আম বাজার রহনপুর ও ভোলাহাটের চিত্রও একই। এক মণে অন্তত ১৫-২০ কেজি আম বেশি নিচ্ছেন আড়ৎদাররা। ফলে আম বাজারে আড়ৎদারদের কাছে জিম্মি সাধারণ আম চাষিরা।
গত তিন বছর ধরে চলা এই অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই বলে মনে করছেন আম চাষিরা। চাষিরা বলছেন, ওজন জটিলতা নিরসনে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনকে বার বার বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে ওজন জটিলতা নিরসনে নেয়া হবে পদক্ষেপ।
জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার এমনিতেই জেলায় আমের উৎপাদন একেবারেই কম হয়েছে। এরপরেও আম চাষিরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন আড়ৎদারদের কাছে। কানসাট, রহনপুর ও ভোলাহাট আম বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আম চাষিদের অনেকটা জিম্মি করেই ৫২ থেকে ৫৪ কেজিতে একমণ ধরে আম কিনছেন আড়ৎদাররা। এমনকি শুধু ৫২ বা ৫৪ কেজিতে নয়, মণে আরও দু-একটি আম নেওয়া হয় ফ্রি। এতে এক মণে অন্তত ১২-১৫ কেজি বেশি নিচ্ছেন আড়ৎদাররা।
এ ব্যাপারে ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও জেলার শীর্ষ আম উদ্যোক্তা আহসান হাবিব এবং শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাদারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, ওজন জটিলতা নিরসনে কৃষি মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি কোনো দপ্তর। তারা আলোচনার মাধ্যমে পুরো রাজশাহী বিভাগে একই নিয়মে আম বিক্রিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ওজন জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং জেলা মার্কেটিং অফিসারসহ সংশিষ্টদের জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, এবার জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে. টন। চাষিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ গাছেই এবার আম হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল