জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বাসে ওঠার পর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা আটকের পর রাজধানী পরিবহনের ২৮ বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে রাজধানী পরিবহনের মালিকপক্ষ। ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। এ সময় মুচলেকা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় মালিকপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, মালিকপক্ষ তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে সাভারের থানা স্ট্যান্ডে টিউশন শেষে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের ২৮টি বাস আটক করে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম হালিমা খাতুন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এক পোস্টে লিখেন, ‘আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে আমি টিউশন শেষ করে থানা স্ট্যান্ড থেকে আসার পথে রাজধানী বাসে ওঠার সময় হেলপার আমাকে বলছে কোথায় যাব, আমি জাহাঙ্গীরনগর বলার পর উনি শুনছে জিরানি যাব, আমি গাড়িতে ওঠার পরে আবার জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাব। আমি জাহাঙ্গীরনগর বলার সাথে সাথে আমাকে হেলপার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিছে, ততক্ষণে ড্রাইভার বাস ছেড়ে দিছে, আমি চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গেছি এবং পায়ে অনেক ব্যথা পেয়েছি। এর আগেও আমাকে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে!’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত