রংপুরে এবার জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে উঠেছে। পুরো মাস জুড়েই ছিল কাঠফাটা রোদ। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে দেখা গেছে। এছাড়া প্রকৃতি নির্ভর আমন ধান চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। পানির অভাবে অনেক স্থানে পাটজাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিল প্রায় ৪৬৪ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৪৫৪ মিলিমিটার। পুরো মাসে ২২ দিনই বৃষ্টিপাত হলেও কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত হয়নি কোথাও। সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছে ২৫ জুলাই ২ দশমিক ৪ মিলিমিটার। এর আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল ২২ দশমিক ১ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় প্রকৃতি হয়ে উঠেছে রুক্ষ। আমনের ক্ষেত শুকিয়ে কাঠ হতে বসেছে। প্রকৃতি নির্ভর আমন ধানে সেচ দিয়েও কৃষকরা কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
গত বছরও জুলাই মাসে স্বাভাবিকের অর্ধেকও বৃষ্টিপাত হয়নি। এপ্রিল ও মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রকৃতিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। কৃষি সেক্টরে পড়েছে বিরূপ প্রভাব।
গত বছরের এ সময় রংপুরে ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এবার ৩৬/৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস উঠেছে।
পুরো জুলাই মাস জুড়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচণ্ড রোদে খাঁ খাঁ করছে চারদিক। গরম-ঠাণ্ডা দুই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করায় ঘরে ঘরে রোগ বালাইও বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি, হিটস্ট্রোক, চর্মরোগসহ শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত