বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে হাইব্রিড জাতের কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কমতে শুরু করেছে দাম। তিন উপজেলার চরাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাষ হয়েছে মরিচের। এসব মরিচ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলাতেও। নতুন মরিচ বাজারজাত হওয়ায় কমেছে দামও।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় প্রাচীনকাল থেকেই মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও কৃষকরা বন্যার পানি নামার পর পরই জমিতে বিভিন্ন জাতের আগাম হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছেন। তবে এ বছর মৌসুমের শেষের দিকে দেরিতে বৃষ্টিপাতের কারণে রোপণকৃত মরিচে রোগবালাই বেশি হয়েছে। এতে করে জমিতে বারবার মরিচের নতুন চারা খোসা দিতে হয়েছে কৃষকদের। প্রতিকূল অবস্থা পার হয়ে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলাগুলোতে মরিচ চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান করছে। তাই মরিচের গাছগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে এবং মরিচ গাছে প্রচুর পরিমাণে মরিচ ধরেছে। কৃষকরা এখন তাদের পরিপক্ব কাঁচা মরিচ উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি শুরু করছেন।
সোনাতলা উপজেলার মধুপুর এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, এ বছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। প্রতি বছরই তিনি মরিচ চাষ করেন এবং লাভবান হন। এ পর্যন্ত তিনি তার মরিচ ক্ষেতে ৩ বার মরিচ উত্তোলন করেছেন।
সারিয়াকান্দির পাইকারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার বিভিন্ন আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি হতে শুরু করেছে। উপজেলার যমুনাতীর ঘেঁষে ৪ থেকে ৫ টি কাঁচামালের আড়ৎ গড়ে উঠেছে। প্রতিটি আড়ৎ এ প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ মণ পর্যন্ত মরিচের আমদানি হয়ে থাকে।
বগুড়ার রাজাবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। বগুড়ার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের ক্ষেত থেকে আগাম জাতের হাইব্রিড মরিচ বাজারে তুলছেন। ফলে দাম কমে প্রতি কেজি ১০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে কাঁচা মরিচের দাম বগুড়ার বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম