সোনালী ধানে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক। কিন্তু দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক। দিনাজপুরের চলছে ফসলের মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা ও মাড়াই। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ব্রিধান-৫১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-১৭, গুটি স্বর্ণ ও সুমন স্বর্ণ ধান কাটা শেষ হয়েছে। ব্রিধান-৩৪ ধান কাটা মাড়াই চলছে। কৃষকেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধানের মাঠে কামলা নিয়ে ধান কাটছেন। কেউ বা ট্রাক্টর ও ভ্যানে করে জমি থেকে ধান আনছেন বাড়ীতে। বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।আগামী সপ্তাহে পুরাদমে ব্রিধান-৩৪ কাটা শুরু হবে বলে কৃষকরা জানান।
কাহারোলের ঈশানপুর গ্রামের কৃষক শামসুল আলম জানান, এবার ১২বিঘা জমিতে ব্রিধান-৩৪ আবাদ করেছেন। ধানের অবস্থা ভালো। আগামী সপ্তাহে ধান কাটা হবে। এবার প্রথম থেকে বৃষ্টি কম থাকার কারণে সেচ দিয়ে আমন ধান লাগানো হয়েছে। এতে আমন উৎপাদনের খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজারে ব্রিধান-৩৪ গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি মণ ধান ৬০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক মান্নান বলেন, এবার আমন ধানে প্রথম থেকে খরচ বেশি হয়েছে । গতবছর কৃষি শ্রমিক ছিল ৪০০ টাকা বতমানে ৭০০টাকা। প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে এবার। বৃহস্পতিবার হাটে ব্রিধান-৩৪ ধান বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ২১শত টাকা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, সকল প্রতিকূল পেরিয়ে এবার উপজেলায় আমন উৎপাদন ভালো হয়েছে। যেসকল ধান এখন কাটা হয় নাই, সেইগুলো বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতে ধানের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৫ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম