নীলফামারীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টা। পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্র পাঠ গ্রামে আশরাফুল ইসলামের মাল্টা বাগানের প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ বর্ণের মাল্টা। মাল্টার ভারে গাছের ডালপালা গুলো নুয়ে পড়েছে। এসব মাল্টা নীলফামারীর চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
২০১৭ সালে ২০ শতাংশ জমিতে ৫০টি চারা রোপন করে শুরু করেন মাল্টার চাষ। তবে বর্তমানে ৪বিঘা জমির ওপর রয়েছে তার মাল্টার বাগান। বাগানের পাশাপাশি তৈরি করছেন মাল্টা গাছের চারা। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত এসব মাল্টা খুবই রসালো ও সুস্বাদু। দাম কম হওয়ায় বেড়েছে চাহিদাও।
মাল্টা চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৩৩৬টি গাছে ফল ধরেছে। একটি গাছে প্রায় দুই মণ করে ফল হবে বলে আশা করছেন তিনি। এ মালটার বাগান দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায়শই আসছেন মানুষ। নিচ্ছেন মাল্টা গাছের চারা। এ বছর প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন।
বাড়তি আয়ের জন্য পতিত জমিতে কৃষকদের মালটার বাগান গড়ার পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি। বারি মালটা-১ এর চারা এনে মাল্টা বাগান গড়ে তোলেন। বছর খানেকের মধ্যেই মাল্টা গাছে ফল ধরে। এই বাগানের মাল্টা খেতে সুস্বাদু এবং বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছি। এবছর ৪ বিঘা জমিতে ৫ শতাধিক চারা রোপণ করেছি।
জলঢাকা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকতা মো. আশিকুর রহমান বলেন, নীলফামারীর মাটি ও আবহাওয়া ফল চাষের জন্য উপযোগী বিশেষ করে মাল্টা চাষের জন্য। জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো মাল্টা বাগান এটি।এ বছর ভালো ফলন হয়েছে আশা করি তিনি লাভবান হবেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, বেলে, দোআঁশ ও উঁচু জমি হচ্ছে মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকায়ও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারবেন কৃষকেরা। মাল্টা একটি রপ্তানিকারক ফল।মাল্টা কৃষি অর্থনীতিকে একটি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, সুস্বাদু এবং রসালো ফল।
বিডি প্রতিদিন/এএম