কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ‘চরবিজয়’ সম্ভাবনার নতুন আর এক দিগন্ত। এ চরটি দৃষ্টিনন্দন করতে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বনাঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা ভূমি প্রশাসন। ইতোমধ্যে ১০০টি কেওড়া, ৩০০টি ঝাউ ও ৪০০টি গোল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এ চরটির সন্ধান মিলে।
তখন ‘চরবিজয়’ নাম রাখা হলেও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেদের কাছে ‘হাইরের চর’ নামে পরিচিত। প্রতিদিনই আগত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে এক নজর দেখতে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ চর ভ্রমণে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তবে চরবিজয়ের নাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। প্রায় পাঁচ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরে লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্ত জোড়া আকাশ, সমুদ্রের নীল জল রাশি, সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক ওড়াওড়ি দেখে মুগ্ধ আগত পর্যটকরা। তবে এ চরটিতে নেই রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাসহ পর্যটক ছাউনি, বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার।
এদিকে চরবিজয় পর্যটকদের ভ্রমণে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিধি-নিষেধ না থাকায় স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। পর্যটকদের আনাগোনায় কমে যাচ্ছে অতিথি পাখি ও লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। জীববৈচিত্র সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট বিধি-নিষেধের আওতায় এনে চরবিজয়কে পর্যটকদের কাছে নিরাপদ বিনোদন জোন হিসেবে গড়ে তোলার দাবি পরিবেশবিদদের।
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, কুয়াকাটা থেকে ১৫ কিলোমিটার গভীরে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর বিজয়ে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। চরটির সৌন্দর্য্য বর্ধনে উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে ৮০০ ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটার মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে। অচিরেই কুয়াকাটা হয়ে উঠবে বিশ্বের নান্দনিক ও আকর্ষণীয় একটি পর্যটন স্পট।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল