নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রতি বছর ফুলকপি বিক্রি হয় কেজি বা পিসে। কিন্তু এবার বিক্রি হচ্ছে হালিতে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকা হালি। দামের কারণে কৃষক বা চাষীর উৎপাদন খরচও উঠছে না।
পাইকারি বাজারে প্রতি হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। বাইপাস সড়কের দুটি পাইকারি বাজার ঘুরে আজ সোমবার এই চিত্র দেখা গেছে। লোকজন নিজের এবং গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য বস্তা ভরে কিনছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে কপি কিনে গ্রামের হাটবাজারে প্রতি পিস ১০ টাকা হিসাবে বিক্রি করছেন।
উপজেলার চৌমহনী বাজারে হালি হিসাবে কপি কিনে বাড়ি ফিরছেন লোকজন। জটলা করে ১০ টাকা হালিতে কপি। ক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, গরু-ছাগলকে খাওয়াতে তিনি চার হালি ফুলকপি কিনেছেন। তার বাড়ি উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ায়।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙ্গালীপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে শাক-সবজি আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি হয়ে থাকে কোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, তালতলা, জানেরপাড়, বোতলাগাড়ি, সোনাখুলি, বকপাড়া এলাকায়।
ওই এলাকার কৃষক শামছুল আলম বলেন, মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি কপি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আগাম যারা শাক-সবজি করেছিলেন তারা দাম পেয়েছেন। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে জমি থেকে তোলার খরচে উঠছে না।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, সৈয়দপুরে ব্যাপক শাক-সবজির আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাতেও পাঠিয়ে থাকেন। এখন ফুলকপির দাম কিছুটা কম। তবে কৃষকরা অন্যান্য শাক-সবজিতে লাভে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত