বসুন্ধরা শুভসংঘ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে সমাজের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী- বিশেষ করে আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের সন্তানদের শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে করণীয় বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি আদিবাসী পল্লিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রায় পঁচিশজন আদিবাসী নারী অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে আদিবাসী নারী দীপালি তিজ্ঞা বলেন, “সারা দেশের মানুষের জীবনে উন্নতি হলেও আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন খুব একটা হয়নি। বিভিন্ন এনজিওর কার্যক্রম থেকেও তেমন উপকার পাইনি। বিশ বছর আগের জীবনযাপন আজও একই আছে।”
অন্য অংশগ্রহণকারী এসতেলা টোপ্পা জানান, অর্থের অভাবে আদিবাসী পরিবারের অনেক শিশু প্রাথমিকের পরেই ঝরে পড়ে শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য হয়। খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক বা কলেজে গেলেও আর্থিক সংকটে তারা এগোতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, “সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান সাহায্যের হাত বাড়ালে আমাদের শিশুরা পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারবে।”
সভায় বসুন্ধরা শুভসংঘের ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক সভাপতি তাপস দেব নাথ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম লিটন আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন। তারা বলেন, সাঁওতালসহ সব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত প্রক্রিয়া। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও সামাজিক অধিকার—সব ক্ষেত্রে পরিকল্পিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এ জন্য সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সদস্য জেসপিনা খালকোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আদিবাসী নারী দীপালি তিজ্ঞা, কৃষ্টিনা ল্যাকরা ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাসসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া