মাদক সেবনের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভীতি ছড়িয়ে পড়ে অন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। এসময় পুলিশ উভয় পক্ষের মাঝে অবস্থান নিলে বড় ধরনের সংঘর্ষ এবং রক্তপাত থেকে রক্ষা পায় শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রানা মন্ডল জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের শেখ হাসিনা হল এবং মুক্তমঞ্চসহ বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের নিয়ে মাদক সেবন করে একদল বিপথগামী শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১১টার দিকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ব্যানারে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এ সময় জাহিদ এবং এনামুলের নেতৃত্বে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল শিক্ষার্থী তাদের মিছিলে হামলা চালায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে উল্লেখ করে একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ ব্যাপারী জানান, হামলাকারী জাহিদ ও এনামুলসহ অন্যান্যরা ছাত্রদল-শিবিরের রাজনীতি করলেও এখন ছাত্রলীগ বনে গেছে।
এদিকে অপরাংশের নেতৃত্বদানকারী আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মর্তুজা হাসান রুপন বলেন, যারা অভিযোগ করেছে সেসব শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন বিএনপি নেতার ছেলে এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ছেলে। তারাই প্রতিদিন বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে মাদকের আড্ডা বসায়। তারা ক্ষমতার দাপট দেখায়। এর প্রতিবাদ জানাতে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন। এখনই মাদক প্রতিরোধ করতে না পারলে পুরো ক্যাম্পাস ভাইরাল হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এমএ কাইয়ুম জানান, দুইদল শিক্ষার্থীর মাঝে মনোমালিন্য হয়েছিলো। এর জের ধরে দুই গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে দুই পাশে অবস্থান নেয়ায় কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উভয় গ্রুপের নেতাদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় গ্রুপের নেতাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তাদের মিলিয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১২ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব