রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আব্দুল্লাহ আল-মামুন নামে এক শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে মারধর ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ২০১ নম্বর কক্ষে আটক রেখে রড ও হকি স্টিক দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। পরে ছয় হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের পর আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেয় তারা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া জামান জ্যাক রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এবং অনিক মাহমুদ বনি ছাত্রলীগের কর্মী। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে শের-ই-বাংলা হলের ২০১ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে জাকারিয়া জামান জ্যাক। এ সময় আব্দুল্লাহকে মারধর করে চাঁদা দাবি করা হয়। আব্দুল্লাহর কাছে টাকা না থাকায় তার বাবাকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ছয় হাজার টাকা আদায় করে জ্যাক ও বনি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আব্দুল্লাহ এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ এবং ছাত্রলীগের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এর আগেও ভয়-ভীতি দেখিয়ে জ্যাক এবং বনি তার কাছ থেকে দুই দফায় ৬ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছে। বিষয়টি কাউকে জানালে জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয়ও দেখায় তারা।
তবে জাকারিয়া জামান জ্যাক এবং অনিক মাহমুদ বনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিপদে ফেলার জন্য কোন রাজনৈতিক পক্ষ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তাদের ব্যাপারে এর আগেও ছিনতাই ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। আজকের (রবিবার) বিষয়টিও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমরা জেনেছি। ঘটনার সত্যতা নিয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। সত্যতা পেলে সাংগঠনিকভাবে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ এপ্রিল, ২১০৭/মাহবুব