রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের তিন ছাত্রকে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের তিনটি শিফটের পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের তিনটি কক্ষে তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা হলেন- আব্দুর রহমান, জাকির হোসাইন ও সোহেল রানা। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিভাগ গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই তিন শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করে বলেন, দায়িত্ব পালনের জন্য তারা প্রতি শিফটে ৫০০ টাকা করে পেয়েছেন।
বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক আখতার ফারুক জানান, আমি ওই শিক্ষার্থীদেরকে ঠিক করে দিই না। সাধারণত এ কাজগুলোর বিভিন্ন কমিটি করে দেওয়া থাকে। তারাই পরীক্ষার হলে কর্মচারীদের দায়িত্ব দেয়।
ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা অনুসারে, পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়া একাডেমিক ভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। নীতিমালা ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষার হলের দায়িত্ব পালন করানোর বিষয়টি এবারই প্রথম বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওই সময়ে কোনো দায়িত্ব ছিল না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সি ইউনিটের ১ম শিফট, সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা দ্বিতীয় এবং সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের ৩৩৪ নম্বর কক্ষে জাকির হোসাইন, তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষে আব্দুর রহমান এবং ৪২৫ নম্বর কক্ষে সোহেল রানাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব হিসেবে তারা পরীক্ষার কক্ষে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে থেকে প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র আনা-নেয়া এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির খাতায় স্বাক্ষর করানোর কাজ করেন।
পরীক্ষা হলে দায়িত্ব পালনকারী পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আইয়ুব আলী বলেন, ‘পরীক্ষা হলে তাদেরকে প্রক্টর সহায়ক কর্মচারী পরিচয়ে ঢুকিয়েছে, কিন্তু তারাতো ছাত্র ছিল। তারপর তাদেরকে দিয়ে খাতায় স্বাক্ষার করা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করানো হয়েছে, এক কথায় কর্মচারী কাজ। যা আইনের লঙ্ঘন।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার