তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার ও বিজ্ঞান অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের অর্ক, ১০ম ব্যাচের সজল,১২তম ব্যাচের সাগরসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামপন্থী জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে চাঁদাবাজি করত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে সকল দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিশাতের চাদাঁবাজি বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার রিসাত নতুন করে টিএসসিতে আবার দোকান বসাতে চায়। এ নিয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী সুজন দাস অর্কের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় রিসাত অর্ককে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে অর্ক তার দলবল নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে থাকলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সভাপতি গ্রুপের সজল আহত হয়। এসময় সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল ক্যাম্পাসে আসলে দু'গ্রুপ শান্ত হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, যারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করে তাদেরকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনা শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব