চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠনের পর ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমির উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় রেজিস্ট্রার অফিস ও তিন-চারটা গাড়িও ভাঙচুর চালায় তারা।
মঙ্গলবার বিকালে এ আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর টিপু। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ২২ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। তাই উক্ত তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রেখেছি।
তবে গৃহকর নিয়ে আন্দোলনকারিদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন তিনি চবিতে শিক্ষকতা করে আসলেও কোন প্রশ্ন উঠেনি। কিন্তু এখন কর নিয়ে আন্দোলন করায় তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি মহল অভিযোগ তুলছে। তাছাড়া নিয়োগের বৈধতা বিষয়ে কোন ধরণের অনিয়ম থাকলে এতোদিন কেন তদন্ত করা হয়নি? এতে তৎকালীন সময়ের নিয়োগ কমিটির ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে জানান চবি সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোরশেদ রিপন বলেন, দুটি ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ওই শিক্ষককে হুমকির বিষয়ে, তাঁর নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে একটি অভিযোগ উঠায় আরো একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমির উদ্দিন গৃহকর নিয়ে সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিরোপ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করে আসছে ছাত্রলীগ।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব