পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বলেছেন, জাফর ইকবালের হামলাকারীদের মূলোৎপাটন এবং এর গভীরে গিয়ে এর সাথে যারা জড়িত, যারা ষড়যন্ত্রকারী, তাদের আইনের আওতায় এনে জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যে হামলাকারীর আত্মীয়দের নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের কাছে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বুঝা যায় হামলাকারী নিজে ব্যক্তিগতভাবে জঙ্গি মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এবং এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটনের লালবাগ বিভাগ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্রসমাবেশ ও কনসার্ট অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘জাফর ইকবাল আমাদের পুলিশ পরিবারের সন্তান। তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তার সুস্থ্যতা কামনা করি। ঘটনার শুরু থেকে পুলিশ এটি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাফর ইকবালের সার্বক্ষণিক চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। জাফর ইকবালের হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলাকারী অসুস্থ বলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাওয়া যায়নি। হামলাকারী সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেন সে হামলা করেছে। এছাড়া হামলাকারীদের মূলোৎপাটন এবং এর গভীরে যারা জড়িত তাদের জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।’
মাদক প্রতিরোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হবে। পারিবারিক মূল্যবোধ একটি মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। মাদক সমস্যা নিরাময়ে পারিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি বলেন,স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও জঙ্গিবাদ সৃষ্টিতে অগ্রগামী। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের কার্যক্রম প্রশংসনীয় এবং বর্হিবিশ্বের জন্য অনুকরণীয়। যে জাতি রক্ত দিয়ে ভাষা ও দেশ অর্জন করতে পেরেছে, সে জাতি অবশ্যই মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে সব করতে পারবে।এসময় তিনি পুলিশ সদস্যদের মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বলেন,‘যদি কোন পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে সাথে সম্পৃক্ত হয় আর এটা যদি প্রমান হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন,‘বর্তমানে বাংলাদেশে আমাদের অন্যতম জাতীয় শত্রু মাদক, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস। এগুলো নির্মূলে আমাদের দ্বিতীয় বারের মত মুক্তিযুদ্ধের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজের সকলকে এসকল ব্যাধি নির্মূলে এগিয়ে আসতে হবে।’
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান-এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, লালবাগ জোনের ডিসি ইব্রাহিম খান, কোতয়ালি জোনের সিনিয়র পুলিশ কমিশনার বদরুল হাসান রিয়াদ,জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৫ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান