রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আম ও লিচুর বাগান বিনা টেন্ডারে দখলের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা জানান, অভিযোগ তদন্তে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে করা চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঈদের পর প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাগানগুলোর টেন্ডারের জন্য অনেকেই আবেদনের জন্য এসেছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে বাধা দেয়ায় বাইরের কেউ আবেদন করতে পারেনি। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৩টি বাগান লিজ নেয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা জমা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের কাছে সেই আবেদন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তৎক্ষণাত ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে লিজ ছাড়াই সেই বাগানগুলো দখলে নেয় ছাত্রলীগ। এদিকে প্রশাসনের কাছে টেন্ডারের আবেদনপত্র ও জামানত কিছু জমা না দিলেও গাছের লিচু পেড়ে ছাত্রলীগের নেতারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবির জানান, রাবি শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বিনা টেন্ডারে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগান দখল করেছে। যাদের বাগান লিজ দেয়া হয়েছে তাদের আম ও লিচু গাছ থেকে পাড়তে দিচ্ছেনা নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর উপাচার্য এসব অভিযোগ তদন্ত করতে গত ১৫ মে উপ-উপাচার্যকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসানুর রহমান, ড. মো. রওশন জাহিদ ও মো. হুমায়ুন কবির।
উল্লেখ্য, গত ২ মে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘রাবির আম ও লিচু বাগান ছাত্রলীগের দখলে’ এবং ১০ মে ‘ছাত্রলীগের কারণে রাবি প্রশাসনের লক্ষাধিক টাকা লোকসান’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ দুটি প্রকাশ হওয়ায় পর পুরো ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন