রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ, পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ টহলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে সোমবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ররুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নেন তারা। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (৩টা ২০ মিনিট) কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পূর্বঘোষিত পতাকা মিছিল প্রতিহত করতে সকাল থেকে গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। তাদের অবস্থানের কারণে আন্দোলনকারীরা গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাসে সরেজমিন দেখা যায়, সোমবার আন্দোলনকারীদের আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান সেখানে উপস্থিত হন এবং ক্যাম্পাসে কোনো রকম অস্থিতিশীল ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে মটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে ৫-৬ গাড়ী পুলিশকেও ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদেরকে গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে টহল দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম। যার ফলে অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। গতকাল রবিবার আন্দোলনকারী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের এলোপাতাড়ি হামলার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জানান, ক্যাম্পাসে সকল ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ছাত্রলীগ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছে। যে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সবসময় অবস্থান করবে। তবে আন্দোলনকারীদের প্রতিপক্ষ হিসাবে ছাত্রলীগ কাজ করবে না বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আন্দোলনকারীরা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর