চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা ও নিপীড়ন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১২টায় জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চ’র ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২টায় বিক্ষোভ মিছিলটি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়। এরপর সেটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ভবন প্রাঙ্গনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুইশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, “শুরু থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কোটা বিরোধী আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়ে সরকার কোটাধারীদের উস্কে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অপচেষ্টা রুখে দাড়াবে।”
তিনি আরো বলেন, “দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা সরকারের দায়িত্ব। তারা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ছাত্ররা যখন তাদের দাবির জন্য আসছে তখনই সরকার ছাত্রদের বাধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন কোনো সিদ্ধান্ত দেননি বরং রাগ প্রকাশ করেছেন। সেই রাগের জায়গা থেকে এখনকার এই দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন তিনি। বুধবার অভিভাবকদের উপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না। জনগণ এর প্রতিবাদ করবে। এই প্রতিবাদ অন্যায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশকে রক্ষার প্রতিবাদ।”
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে দেশের সেবা করতে চায়। তাদের সেই সুযোগটা দেন। কোটার নামে অবিচার বন্ধ করে অতি দ্রুত সংস্কার করুন।’
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কে একজন ছাত্রের ভূমিকা গ্রহণ করে সাধারণ ছাত্রদের কাতারে এসে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মো. আশিকুর রহমান, ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাহাথির মুহাম্মদ, ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক আতাউল হক চৌধুরী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান