কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যেসব স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়েছে শিক্ষকরা সেসব স্থান প্রদক্ষিণ করেন।
‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দের’ রবিবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শিক্ষকরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ শিক্ষক অংশ নেন।
পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান ও ব্রিটিশ শাসনামলে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, কোটা সংস্কারের মতো ন্যায়সংগত আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা চার ধরনের অন্যায়ের শিকার হয়েছে। তাদের হাতুড়িপেটা করা হয়েছে, মেয়েদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, গুরুতর আহত করা হয়েছে, এটা প্রথম অন্যায়। আর দ্বিতীয় অন্যায় হলো তাদের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্ছিত করা হয়েছে। তৃতীয়ত, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে ও চর্তুথত, তাদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। এ সময় হাতুড়িপেটার শাস্তি যাবজ্জীবন রাখার দাবি তোলেন তিনি।
মানববন্ধনে চার দফা দাবি তুলে ধরেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন। দাবিগুলো হলো-
এ সময় ড. গীতি আরা নাসরিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দ্রুত কোটা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ জুলাই, ২০১৮/মাহবুব