সরকারবিরোধী প্রবন্ধ লেখার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেট সদস্য ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদাত আল সাজিবকে বহিষ্কারের দাবিতে মানবন্ধন করেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।
সোমবার দুপুরে দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন জেমস, চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, আল আমিন রিমন, নাসির উদ্দিন সুমন, এনামুল হক আরাফাত, উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক সায়ন দাশ গুপ্ত, মিলু প্রামানিক, মিথুন পালিত, আল নাহিয়ান রাফি, শরীফ উদ্দিন, হাফিজুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান সাজন, মিজাননুর রহমান খান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাদাত আল সাজিবের ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রবন্ধ লিখে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে জনমত তৈরীর উদ্দেশ্যে জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিগত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যোগ্যতা শিথিল করে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল সাজিব তাদের একজন। ওই সময় জামায়াত-শিবিরের লোকজনদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যার প্রমাণ হলেন সাদাত আল সাজিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সায়েন্স জার্নালে ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নাকি কেউ মুখ খুলে কথা বললে সরকারের পক্ষ থেকে গুম করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের দোষর মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার ও তার পত্রিকা আমার দেশ আদালত বন্ধ করে দিলেও তিনি প্রবন্ধে বলেছেন শেখ হাসিনার সরকার আদালতের উপর প্রভাব বিস্তার করে এসব করেছেন।
মানবন্ধনে ছাত্রলীগ নেতারা আরও বলেন, ওই শিক্ষক তার প্রবন্ধে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও বিক্ষোভ হিসেবে উল্লেখ করে প্রবন্ধে লিখেছেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং বিক্ষোভের খবর প্রচার করা বন্ধ করতে বাধ্য করা হয় কিছু টিভি চ্যানেলকে। এভাবে ওই শিক্ষক সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, আদালত অবমাননাকরর প্রবন্ধ লিখে উচ্চ শিক্ষাকে কলঙ্কিত করেছেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সদস্য ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদাত আল সাজিবকে একই অভিযোগে বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি এনামুল হক আরাফাত। স্মারকলিপিতে উল্লেখিত অভিযোগ তদন্ত করতে চবি আইন অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা