১৯৬৬ সালে চারটি ইটের স্তম্ভে নির্মিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে বর্তমান শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। সে নকশার সাথে অনেকাংশেই মিল রয়েছে পাকিস্তানের লাহোরের ইকবাল পার্কে অবস্থিত 'মিনার-ই-পাকিস্তান'র। পাশাপাশি এর চূড়ায় আনারস সদৃশ একটি প্রতীকও রয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক হয়।
সম্প্রতি শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি তুলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন শহীদ মিনার নির্মিণের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও যেখানে বর্তমান শহীদ মিনারটি আছে সেটি হবে 'বিজয় স্তম্ভ'।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলেই হবে এটির নকশা। আর স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বর্তমান শহীদ মিনারের পূর্ব পাশের জায়গাটি। এজন্য বর্তমান পূর্ব পাশের সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২৮ শে ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হবে এর ভিত্তি প্রস্তর। পাশাপাশি পুরনো শহীদ মিনারটি পুরোপুরি না ভেঙে নকশা ও স্থান সংকোচিত করে বিজয় স্তম্ভ করা হবে। যেটির চূড়ায় বর্তমান আনারস আকৃতির পরিবর্তে কংক্রিটের কাঠামোতে জাতীয় পতাকা বসানো হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে এসব পরিকল্পনার কথা জানান চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএন্ডডি) কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে এটি নির্মিত হবে। এছাড়া নতুন শহীদ মিনারের নকশা প্রণয়ন করতে ঢাবির শহীদ মিনারটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রকৌশলীদের একটি দলকে শিগগিরই ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে বর্তমান শহীদ মিনার পুনঃনির্মাণের দাবিতে উপাচার্যকে রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, মো. নুরুজ্জামান, আল আমিন রিমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন জেমস, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি নাছির উদ্দীন সুমন, এনামুল হক আরাফাত, উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক শায়ন দাশগুপ্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল