ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজটিকে যশোর ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফ্যাকাল্টিভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছিল। তারা এ দাবিতে আন্দোলনও করে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও দাবি বাস্তবায়ন করেনি।
এর প্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করে। প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবনসহ সকল রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ফলে কলেজটির সকল দাপ্তরিক কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদের দু’গ্রুপের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাসের মধ্যে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক ফাইম হাসান, জাহিদ হাসান, ইরফান মাহমুদ, শুজয় সরকারসহ ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সিন্ধান্ত মোতাবেক কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক লুবান শাহফুজ মিশুককে পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। পাশাপাশি দল থেকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে সুপারিশ করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার পুনরায় ছাত্রদের মধ্যে উত্যপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এ কারণে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠকে কলেজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে ভেটেরিনারী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ অমলেন্দু ঘোষ জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কলেজের সব কার্যক্রম শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল