বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ওয়ারীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা
- বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রবাসী ভোটার আবেদন তদন্ত করতে বলল ইসি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
- সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই
- আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
- বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
- তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
- আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
- শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
- খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান
- মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা
- যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প
- পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
- আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস
- নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল
- সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলায় আরও চারজন গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের আরও চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে তিনজনকে ও সোমবার সকালে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এনিয়ে এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাজশাহী মহানগরীর আসাম কলোনীর শাহ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান হিরা (২৩), রবিউল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান আশিক (২৩), সাধুর মোড় এলাকার নোমানের ছেলে নাবিউল উৎস (২০) এবং ছোটবনগ্রাম এলাকার খন্দকার আলমগীরের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৩)। তারা সবাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস তাদের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এনিয়ে অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় মোট নয়জনকে গ্রেফতার করা হলো। জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার সকালে এ ঘটনার তদন্তে আসেন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের গঠন করা কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি ছাত্রলীগের গঠন করা কমিটিও সদস্যরাও আসেন। তারা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। যে পুকুরে অধ্যক্ষ ফেলা হয়েছিল, সেই পুকুরের গভীরতা মাপা হয়। কারিগরি শিক্ষা অধিফতরের কমিটির সদস্যও প্রত্যেক শিক্ষকের বক্তব্য লিপিবব্ধ করেন। আর ছাত্রলীগ নেতারা অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিফতরের কমিটির প্রধান এসএম ফেরদৌস আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, পুকুরের যে স্থানে অধ্যক্ষকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তা সেই স্থানে পানির গভীরতা পরিমাপ করেছেন। দেখেছেন সেখানে পুকুরের গভীরতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। অধ্যক্ষ সাঁতার না জানলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো। তদন্তে আরও বেশকিছু বিষয় তারা পেয়েছেন। তিনদিনের মধ্যে তদন্ত করে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। শেষ দিন মঙ্গলবারই তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এদিকে সোমবার ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, অধ্যক্ষের লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইনস্টিটিউটের মেকানিক্যাল পঞ্চম পর্বের ছাত্র মো. ইয়াসিন বলেন, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষককে পানিতে ডুুবানো জাতির জন্য লজ্জা। তাই আমরা আন্দোলন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বিচার চাইছি। এ জন্য আমাদের বলা হচ্ছে ছাত্রদল, শিবির। আমরা কোনো রাজনীতি করি না, ক্যাম্পাসে রাজনীতি দেখতেও চাই না। আরেক শিক্ষার্থী শাওন হোসেন বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করছি বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা যেন এ আন্দোলনে না আসে সে জন্য ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। ভয়ে অনেকে আন্দোলনে আসছে না। অনেকেই ফোন বন্ধ করে রেখেছে। আমরাও ভয়ের মধ্যে আছি।’
উল্লেখ্য, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে গত শনিবার অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুপুরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভিতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।
এনিয়ে রাতে মামলা করেন অধ্যক্ষ। এতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়। পরে রাতেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। আর ঘটনা তদন্তে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার থেকেই তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর