‘হয় ভর্তি নিন, না হয় বিষ দিন’সহ নানা স্লোগান সম্বলিত ব্যানার হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা।
২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবেদনের যোগ্যতা থাকার পরও ২০১৯ সালে মানোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে এসব শিক্ষার্থী। পরে তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশে নিয়ে উত্তীর্ণও হয়। কিন্তু প্রশাসন বলছে তারা ভর্তি হতে পারবে না। পূর্বে যোগ্যতা থাকায় এ বছর তারা অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, আবেদন প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। তাই ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।
এছাড়াও মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর দরখাস্তও দিয়েছে এই ভর্তিছু শিক্ষার্থীরা। অস্পষ্ট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনের সময় তাদের বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল এই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আন্দোলন শুরু করে। পরে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করেন তারা।
আন্দোলনকারী ভর্তিচ্ছু ইমাম হোসেন হৃদয় বলেন, সার্কুলারে স্পষ্টভাবে বিষয়টা ছিল না। আমরা যখন আবেদন করলাম তখন আমাদের যোগ্য বলা হল, এডমিট কার্ডও দিল, পরীক্ষায় অংশ নিতে দিল, রেজাল্টও দিল আমাদের কিন্তু এখন বলছে ভর্তি হতে দিবে না।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিকাঈল জানান, আমাদেরকে প্রক্টর স্যার আগামীকাল এবং যারা দূরের, আসতে সময় লাগবে তারা পরশুর মধ্যে আমাদের ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশীটের ফটোকপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডের ফটোকপি এবং আজকের দরখাস্তটি প্রক্টর অফিসে জমা দিতে বলেছেন।
আরেক শিক্ষার্থী তানজিম বলেন, আমরা যেহেতু এখনও কোনো আশ্বাস পাইনি তাই আমরা প্রশাসন থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী জানান, ওরা আমার কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। তাদেরকে বলে দিয়েছি যে তারা প্রত্যেকে যাতে আগামীকাল অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের দরখাস্তসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রক্টর অফিসে জমা দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টম্বর প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অস্পষ্টতার জেরে আবেদন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত করায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না এই শিক্ষার্থীরা। যদিও তাদের আবেদন গ্রহণ করে প্রবেশপত্র ও ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল