চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদবী ব্যবহার না করতে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চবি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী চবির সাবেক উপাচার্য এবং ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান।
রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' পদের নীতিমালা প্রনয়ণ সংক্রান্ত প্রাক্তন উপাচার্য মহোদয়ের গৃহীত ব্যবস্থার রিপোর্ট এখনো একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন হয়নি। এবং উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান সংক্রান্ত গৃহীত ব্যবস্থার রিপোর্ট অনুমোদন সংক্রান্ত সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তটি এখনো কনফার্ম হয়নি।
এছাড়াও এই চিঠিতে আরো বলা হয়, এ বিষয়ে চবি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক সিদ্ধান্ত না হওয়া, সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত কনফার্ম না হওয়া পর্যন্ত বা এ ব্যাপার পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদটি ব্যবহার না করার জন্য আদেশক্রমে আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ আমাদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র, গৌরবের, অহংকারের। আমরা সবাই মুজিববর্ষ সফল করতে যখন ব্যস্ত, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকা রাষ্ট্র ও বঙ্গবন্ধু বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করতেই এসব করছেন। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণায় বাধা সৃষ্টি করা কি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা নয়? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কারো সরলতা ও দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ভূত চেপে বসেছে কিনা তা শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সরকারের কাছে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। কারণ এখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করা যাচ্ছেনা।
তিনি বলেন, আমি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এসিস্ট্যান্ট কিছু লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। গত আট মাসে তারা আমাকে কিছুই দেয়নি। এবং বঙ্গবন্ধু চেয়ার অফিসের চাবিও আট মাস ধরে নিয়ে ফেলেছে। কোন আর্থিক সুবিধা ছাড়াই আমি বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে দায়িত্ব পালন করছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বড় ধরণের গবেষণা করতে ব্যক্তিগত অর্থায়নের পাশাপাশি অনুদান সংগ্রহেরও উদ্যোগ গ্রহন করেছি আমি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়ারের উদ্যোগে অন্বেষা প্রকাশনী ও শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে বাংলা একাডেমির বই মেলায় দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো একটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে. এম. নুর আহমদ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সবকিছুইতো চিঠিতে আছে। আপনি পড়ে নেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন