চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদবী ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞাকে সাম্প্রদায়িক অন্ধকার শক্তির গভীর চক্রান্ত ও কূটকৌশল বলে উল্লেখ করেছেন প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে. এম. নুর আহমেদকে লিখা এক চিঠিতে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী উল্লেখ করেন, মহাকালের মহানায়ক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মহান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ক্ষণগণনার পরিক্রমায় পুরো বাঙালি জাতি পরম আরাধ্য মুজিববর্ষকে অত্যন্ত পবিত্র চিত্তে; অমিত অহংবোধে ভাস্বর গৌরবময় বিশ্ব ইতিহাসের এ অধ্যায়কে অধিকতর আলোকজ্জ্বল করার প্রস্তুতি গ্রহণের প্রাক্কালে এ ধরণের পত্র অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিষয়টি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরাজিত সাম্প্রদায়িক অন্ধকার শক্তির গভীর চক্রান্ত ও কূটকৌশল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চিঠিতে ড. ইফতেখার আরো উল্লেখ করেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বঙ্গবন্ধু চেয়ার (গবেষণা কেন্দ্র) সংক্রান্ত সিন্ডিকেট কার্যবিবরণী, নিয়োগ ও যোগদানপত্র, বিভিন্ন সভায় উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর যুক্ত সিদ্ধান্ত ও অফিসিয়াল নোটের মুল কপির ফটোকপিসহ যাবতীয় কাগজপত্র প্রদানের অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হর্তাকর্তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তদন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। এছাড়া গত আট মাসে সীমানা প্রাচীর ও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি, ডিন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে আস্থাহীনতা ও সংকটসহ যেসকল নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটেছে সেগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন। এই অশুভ শক্তি নিজেদের নানা অপকর্ম ও ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার নিয়ে নীলনকশা আঁকার মাধ্যমে প্রকারান্তরে বঙ্গবন্ধুকেই অবমাননা করছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার