সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে অনুষ্ঠিত হল এক সেমিনার। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), আইইউবি’র স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এসইএসম) এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফর পিস যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটিইউ’র অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান। তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তরুণ সমাজ। তারা একদিকে যেমন বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে, অন্যদিক জঙ্গি আক্রমণে তাদের জান-মাল বিপন্ন হচ্ছে। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং এ বিষয়ে পরিবার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বেশি করে কথা বলার আহবান জানান।
পরবর্তিতে এ বিষয়ে কথা বলেন এটিআই’র অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আবুল কাশেম। জঙ্গিবাদের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যেন ভুল পথে পরিচালিত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কোন ধর্মই ধ্বংসাত্মক কোন কিছুকে সমর্থন করে না। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে পড়াশোনা এবং সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে সামাজিক কর্মকাণ্ডে বেশি বেশি জড়িত থাকতে আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আইইউবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব এ মতিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মিস. পেনি মরটন, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার কানবার হুসেন, এটিইউ’র ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ ও মো. হায়দার আলী খান।
তারা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন এক বৈশ্বিক সমস্যা। এ থেকে রক্ষা পেতে সকলেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলির একার পক্ষে এই জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদে, এটি প্রতিরোধের জন্য সামগ্রিকভাবে বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সকলস্তরের সহায়তা একান্ত কাম্য বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
এছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আইইউবি’র ভূমিকা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এসইএসএম-এর ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেক। পরে জঙ্গিবাদ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এটিআই’র কর্মকর্তারা মো. মনিরুজ্জামান। তিনি এসময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ গড়তে আইইউবি-কে সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেন।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্যায়ে মিনি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শিক্ষকদের নেতৃত্বে ১০টি আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা দিয়ে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। সেমিনারে আইইউবি’র বিভিন্ন স্কুলের ডিন, শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ