২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৮:৫৯

ইবির বইমেলায় ৭ শিক্ষার্থীর বই

ইবি প্রতিনিধি

ইবির বইমেলায় ৭ শিক্ষার্থীর বই

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বইমেলায় ৭ শিক্ষার্থীর নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি উপাচার্যসহ ১১জন শিক্ষকের ১৪টি নতুন বই বের হয়েছে। 

বইগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগানে তিন দিনব্যাপী বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলার বিভিন্ন স্টলে এবং ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।

মেলা সূত্রে জানা যায়, এ বছর বইমেলায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি, জাতিসংঘের ইতিহাস ও রহস্য নিয়ে লেখা আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়্যুম আহমেদের ‘ইলুমিনাতি’ বইটি প্রকাশ হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে তাজকিয়া পাবলিকেশন। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বইমেলায় বইটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। ‘বাবুই’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম আলভির ছোটগল্প ‘শেষ বিকেলের চিঠি’ এবং পরিলেখ প্রকাশনী থেকে ইসলাম রফিকের কাব্যগ্রন্থ ‘বিজয়ের তরে গন্তব্য’ বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। 

আইন বিভাগের স্নাতকত্তোরের শিক্ষার্থী মাসুদা খানমের উপন্যাস ‘নিস্তব্ধ হৃদয়’ প্রকাশ করেছে হিমাদ্রী প্রকাশনী। আল-হাদিস বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ ফুয়াদ অনুদিত ইনতেজার হোসাইনের ‘বাস্তি’ প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। দাওয়াহ বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন হাবীবের কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্নের বীজতলা’ পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায়। আত্মজীবনীমূলক বই ‘ধর্মের সন্ধানে’ প্রকাশ করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়ানুর রহমান। 

এ ছাড়াও উপাচার্যসহ ১১ শিক্ষকের লেখা ও অনূদিত মোট ১৪টি নতুন বই বের হয়েছে বইমেলায়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী’র লেখা ছোটগল্প সংকলন ‘নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান’র নয়াদিল্লীতে প্রকাশের পর আগামী প্রকাশনী বইটির বাংলাদেশি সংস্করণ বের করেছে বইমেলায়। লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের কাব্যগ্রন্থ ‘স্বর্গীয় প্রযুক্তি’, অধ্যাপক ড. মুন্সি মুর্তজা আলীর কাব্যগ্রন্থ ‘তবু তো ফাগুন আসে’ ও ‘চৈতন্য’, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান অনূদিত ‘মক্কার মর্যাদা’, অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানের অনূদিত গল্পগ্রন্থ ‘স্বপ্নসুখ’, উপন্যাস ‘মিস জাকার্তা’ এবং ‘ফেরেস্তার প্রার্থনা’, ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের কাব্যগ্রন্থ ‘নরক আমার বোন’, অধ্যাপক আব্দুল মুঈদের ‘মাতৃভূমির বিলাপ’ ও অধ্যাপক ড. রায়হান শরীফের উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গ ধ্রুবতা’ বইমেলার বিভিন্ন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি তরুণ ও উদীয়মান লেখকদের অনুপ্রেরণা যোগাতে আমরা তিন দিনব্যাপী বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করেছি। এ বারের বইমেলায় গতবারের তুলনায় লেখক বৃদ্ধি পেয়েছে। আশাকরি এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাস একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে বেড়ে উঠবে।’


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর