২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২২:১৩

‘রাজনৈতিক চলচ্চিত্র বিকাশে সেন্সর বোর্ডকে সহনশীল হতে হবে’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

‘রাজনৈতিক চলচ্চিত্র বিকাশে সেন্সর বোর্ডকে সহনশীল হতে হবে’

রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উঠে আসে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমালোচনা। কিন্তু বাংলাদেশে সামান্য রাজনৈতিক সমালোচনা থাকলেই কোন চলচ্চিত্রকে সেন্সর বোর্ড আটকে দেয়। তাই চলচ্চিত্রের বিকাশে সেন্সর বোর্ড ও রাষ্ট্রযন্ত্রের নমনীয়তা বাড়াতে হবে। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘অপ্রকাশিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ বক্তৃতামালা’ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ এসব কথা বলেন। 

‘বাংলা রাজনৈতিক চলচ্চিত্র: প্রতিবাদ ও সামাজিক পরিবর্তন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন একই বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আহরার আহমেদ। 

অনুষ্ঠানে মৃণাল সেনের কলকাতা-৭১, সত্যজিৎ রায়ের প্রতিন্দ্বদ্বী, জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ও তারেক মাসুদের মাটির ময়না-চারটি রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ড. নাদির জুনাইদ। 

তিনি বলেন, একটি শিল্প মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে যেমন শৈল্পিক উৎকর্ষ দেখা যায়, আবার কখনো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় তীব্র সামাজিক ও রাজনৈতিক সমালোচনা। চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। যেভাবে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই চারটি চলচ্চিত্র। 
 
ড. জুনাইদ বলেন, কিন্তু একটি রাজনৈতিক দর্শন থাকলেই তাকে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র বলা যায় না। রাজনৈতিক চলচ্চিত্রে রাজনৈতিক মতাদর্শের নির্মোহ উপস্থাপনের সঙ্গে থাকবে অগতানুগতিক নির্মাণশৈলী যা দর্শককে সক্রিয় করে তুলবে। তাতে থাকবে সমাজ পরিবর্তনের চিন্তা। 

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কি আমরা সেভাবে রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের দেখি? আবার যেটুকু নির্মাণ হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র পরিচিত হয়েছে, বাংলা ভাষার শক্তিশালী রাজনৈতিক চলচ্চিত্রগুলো সেভাবে আলোচিত হয়নি। এজন্য চিন্তাশীল তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী বলেন, ভাবতে বাধ্য করাই চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান কাজ। কিন্তু গতানুগতিক চলচ্চিত্রে আমরা যে ধরনের রাজনৈতিক চিন্তা দেখি, তা মূলত পলিটিক্স অব ইন্টারটেইনমেন্ট, যা আমাদের আরও নিষ্ক্রিয় করে তোলে। এটাও এক ধরনের রাজনীতি, যা আধিপত্যশীল গোষ্ঠীর আদর্শেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এই পলিটিক্স বন্ধ করতে হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর