রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিম্নমান সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইলে উত্তরপত্রসহ এক পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে পরীক্ষক। কিন্তু হাতেনাতে ধরার পরও জালিয়াতকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার কুদরত-ই-খুদা একাডেমিক ভবনের ৪১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মো. আশিকুর রহমান। তিনি রাজশাহীর ভদ্রা এলাকায় থাকেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কক্ষে দায়িত্বরত পরীক্ষক ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল মালেক নকল চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন একজনকে মোবাইলে উত্তরপত্রসহ হাতেনাতে ধরেছি। তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, যেহেতু তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের অপকর্মসহ কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হবে না এই শর্তে তার বাবার উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে কোথা থেকে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল তা তদন্ত না করে জালিয়াতিকারীকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। নাম প্রকাশ না শর্তে তারা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অবশ্যই বড় ধরনের কোনও ঘাপলা আছে। তা নাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেনই বা জালিয়াতিকারীকে হাতেনাতে ধরার পর ছেড়ে দিবে।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ