রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের চলমান পরীক্ষাসহ সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় রাজধানীর নীলক্ষেতে সড়ক আটকিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থগিতের ঘোষণা আসার পরপর রাস্তায় নেমে আসে তারা। পরে রাত দশটার দিকে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) একই স্থানে আবারও অবস্থানের কর্মসূচি দিয়ে চলে যায় আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭ সরকারি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত (ফোকাল পয়েন্ট) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, বিকাল ৩টায় এ বিষয়ে সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট তিনজন ডিন বৈঠক করেন। সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএস মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে ওই বৈঠকটি হয়। সেখানেই পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা 'পরীক্ষা নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না', 'চলমান পরীক্ষা নিতে হবে নিতে হবে', 'সাত কলেজের পরীক্ষা নিতে হবে নিয়ে নাও', 'ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিতে হবে নিতে হবে', 'দাবি মোদের একটাই, মার্চে হল-ক্যাম্পাস খোলা চাই', প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এসময় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে সরকারি তিতুমীর কলেজের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনেকের পরীক্ষা চলমান। এই অবস্থায় হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
ইডেন মহিলা কলেজের এক ছাত্রী বলেন, ২০১৯ সালের পরীক্ষা এখনও রয়ে গেছে। আমরা এভাবে আর সেশনজটে আটকে থাকতে চাই না। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আমরা আবারও নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান করব।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ আছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খোলা ও ২৪ মে ক্লাস শুরুর কথা জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সব কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়ে আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত