বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ ও সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৩ এর সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভূঁইয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর তোফায়েল আহমেদের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া।
প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ঘটনাবহুল জীবন ও সংগ্রামের উপর আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন স্বত্তা, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস অসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু’র নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকী বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক বড় মাপের বিশ্ব নেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধু’র শাহাদাতের খবরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মন্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়।
তিনি আরো বলেন, নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, বর্তমান প্রজন্ম খুবই ভাগ্যবান এই কারণে যে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একই সাথে সগৌরবে উদযাপন করতে পারছে। বিশ্বে অনেক নেতার নাম আলোচিত হলেও বঙ্গবন্ধু সবাইকে ছাপিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধু’র জন্ম, শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু সুদুরপ্রসারী ও ভিশনারি নেতা ছিলেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি এবং আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু’র নিরলস সংগ্রাম ও আপোষহীন নেতৃত্বের জন্যই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নয়নশীল দেশের মার্যাদা পাবে এবং ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং জানান, করোনাকালেও ৪ জন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ও ১৬৭ জনকে এমএস ডিগ্রী প্রদান, বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য ৫টি ফসলের উন্নত জাত অবমুক্তকরণ, আরো ৮টি প্রযুক্তি অবমুক্তির অপেক্ষায় এবং সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ কর্তৃক ৩৩৪টি আন্তর্জাতিকমানের প্রকাশনাসহ অনলাইনে বিএস, এমএস ও পিএইচডি ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আলোচনা সভায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ৩৫০ জন সংযুক্ত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার