২০২০ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষকদের ২৮টি গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই একটি অত্যন্ত মর্যাদাকর একাডেকিম সাফল্য।
এসইউবির ফার্মেসি বিভাগ মাত্র ১৬ বছর আগে যাত্রা শুরু করলেও ইতোমধ্যে এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষক কতিপয় মেধাবী তরুণ শিক্ষককে এখানে যুক্ত করে এর শিক্ষাদান ও গবেষণার মানকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
এসইউবির ফার্মেসি বিভাগের গবেষণাগারটিও অনেক আগে থেকেই যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটিকে আরও সমৃদ্ধ ও আধুনিক করে তোলার ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা এ করোনার মহামারীতেও থেমে নেই।
সর্বসম্প্রতি এখানে আরও নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, এ উদ্যোগের ফলে এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা,পাঠদান ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই ব্যাপকভিত্তিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
এসইউবি ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষকদের যে ২৮টি প্রবন্ধ সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে। ফার্মাকোলজিক্যাল ও কম্পিউটারভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে তুমা গাছের নতুন ওষধিগুণ অনুসন্ধান, নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ক্ষেত্রে পাম তেলের ফেনোলিক্স যৌগের নিউরোপ্রোটেকটিভ ক্রিয়াকলাপের সম্ভাব্য কৌশল অনুসন্ধান, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত বাংলাদেশি শিশুদের মধ্যে এনপিএইচএস-২ জিন আর-২২৯-কিউ পলিমরফিজমের বিস্তার রোধ, করোনা জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে পুনঃব্যবহারযোগ্য ওষুধের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি পর্যালোচনা, প্রাণীর দেহে বড়নখা উদ্ভিদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ডিপ্রেসিভ ক্রিয়াকলাপ অনুসন্ধান ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষে আহরিত তাত্ত্বিক জ্ঞানের প্রতিটি প্রসঙ্গ গবেষণাগারে হাতেকলমে মিলিয়ে শেখাটা বাধ্যতামূলকও। ফলে দিন শেষে এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীই একেকজন পেশাজীবীর মতো হয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন, যে কারণে দেশে বিকাশমান ওষুধ শিল্পগুলোতে এসইউবির ফার্মেসি স্নাতকরা দিনদিনই অধিকর যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির