২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:১২

দেড় বছর পর ঢাবির লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

দেড় বছর পর ঢাবির লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা

কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। সংগৃহীত ছবি

দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার থেকে খুলল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লাইব্রেরিগুলো। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরানোর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি ও বিভাগীয় বা ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরিগুলো খুলে দেওয়া হলো।

আজ সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দেখা যায়, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইব্রেরিতে  প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিযামুল হক ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী প্রমুখ।

এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরিগুলো খোলা থাকবে।

যেসব শিক্ষার্থী অন্তত কোভিড ১৯-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের সনদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে লাইব্রেরিগুলো ব্যবহার করতে পারছেন।

তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক ড. নাসিরুদ্দিন মুন্সী বলেন, শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার জন্য লাইব্রেরির বাইরে বেসিন, হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। সরকারি যে স্বাস্থ্যবিধি আছে, তা মেনে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিতে আসতে হবে। স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা কোনো শিক্ষার্থী লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন না। 

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণয়নকৃত এসওপি-তে লাইব্রেরি ব্যবহারের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, দলগত আলোচনা থেকে বিরত থাকা, গ্রন্থাগারে প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য আলাদা গেট ব্যবহার করাসহ নানা ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘লাইব্রেরি, সেমিনার প্রভৃতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যাল যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর প্রণয়ন করেছে, সেটি মেনে চললে স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি সামনে রেখে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের নিজেদের জায়গা থেকে নিয়মগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।’ 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর