২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৫০

কুবি ছাত্রলীগের জুনিয়র নেত্রীর বিরুদ্ধে সিনিয়র নেত্রীকে পেটানোর অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুবি ছাত্রলীগের জুনিয়র নেত্রীর বিরুদ্ধে সিনিয়র নেত্রীকে পেটানোর অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলে সিনিয়র এক নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ওই হলের ২০৯ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

শাখা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ও আইসিটি বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীর হাতে মারধরের শিকার হন লোকপ্রশাসন বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। মারধরের এক পর্যায়ে অবচেতন হয়ে পড়েন ১০ম ব্যাচের ওই সিনিয়র নেত্রী। পরে হলে অবস্থানকারী অন্যান্য ছাত্রীদের সহযোগিতায় জ্ঞান ফিরে পান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে হলের লকারের চাবিকে কেন্দ্রকে করে সিনিয়র ছাত্রীকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেন এ ছাত্রলীগ নেত্রী। এর প্রতিবাদ করলে তখন সিনিয়র ছাত্রীর চুলের মুঠি চেপে মারধর করেন জুনিয়র নেত্রী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে শনিবার দুপুরে নিজের বিছানার পাশে বইয়ের র‌্যাক রাখেন সিনিয়র ছাত্রলীগ নেত্রী। এ সময় জুনিয়র এ নেত্রী র‌্যাক সরাতে বললে কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরে রাতে লকারের চাবি নেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত সিনিয়র ছাত্রী বলেন, গত তিন বছর ধরেই আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকি ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে সে (জুুনিয়র শিক্ষার্থী)। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ হল প্রাধ্যক্ষকে বিভিন্ন সময়ে জানানোর পরও কেউ কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ গতকাল সে আমার ওপর হামলে পড়ে। এতে আমি চিৎকার করলে পাশের রুমের মেয়েরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ওই কক্ষের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

তবে মারধরের বিষয়ে অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের এ নেত্রী বলেন, ‘এরকম কিছু তো হয়নি। মারধরের বিষয় তো আসেনি। আপুর সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। পরে আমি আপুকে সরি বলছি। এটি রুমের মধ্যে ছিল, রুমের মধ্যে সমাধান হয়েছে।’ বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাদেকুজ্জামান তনু বলেন, ঘটনার সময় আমি বিভাগের কাজে বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে দু’জন আবাসিক শিক্ষককে পাঠিয়েছি। তারা তৎক্ষণাৎ তা মিটিয়ে দেন।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর