টানা ১১ দিনের মতো কর্মবিরতির আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে দুপুর ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম। এরপর সবাইকে নিজ নিজ দফতরে ফিরে যেতে বলেন তিনি।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বুধবার পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তারা। পরে উপাচার্যের আহ্বানে তার নিজ বাসভবনে আলোচনায় বসেন কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ। তখন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সলাম তাদের দাবি বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করে দেন। আলোচনা শেষে আন্দলোন স্থগিতের ঘোষণা দেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এমদাদুল আলম।
আন্দোলনকারী সবার সঙ্গে আলোচনা ও মতামত না নিয়েই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় কর্মকর্তাদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় নিজেদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সবাই সেখান থেকে চলে যান।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। যার ফলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।
কর্মকর্তাদের দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক এবং রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, অধ্যাপক ড. মেহের আলী, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়লিদ হাসান মুকুট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় এটি উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কর্মঘণ্টা কমানো, বেতনের নীতিমালা পরিবর্তন ও চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরে উন্নীতকরণের দাবিতে গত ১০ দিন কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। প্রথম কয়দিন ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করলেও শেষ দুইদিন পাঁচ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ফলে সনদপত্র, নম্বরপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ