ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ হল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করেছিলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্তত চার ঘণ্টা বাইরে অবস্থানের পর প্রশাসনের দায়িত্বে হল ফিরতে পেরেছেন তিনি।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদারের অনুসারী ৭-৮ জন ছাত্রলীগকর্মী ভুক্তভোগী রাজিমুল হক রাকিবকে হল থেকে বের করে দেয়। এসময় তার বই-খাতা, টেবিল ও কাপড় হলের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে হলের আবাসিক শিক্ষকরা তাকে আবার তার কক্ষে তুলে দেয়।
এর আগে, ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তানভীর সিকদার রাকিবকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ ও মারধর করেন। এ বিষয়ে হল প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন রাকিব। এর প্রেক্ষিতেই তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ তার। তিনি জানান, ‘(সোমবার) ইফতারের পর তানভীরের অনুসারি নাফিস ও রাজুসহ ৭-৮ জন আমাকে হল থেকে বের করে দেয়। এসময় তারা খুব মারমুখী আচরণ করে।’
সোমবার রাত ৯টার দিকে রাকিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘সোমবার দুপুরে হল প্রাধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর হল প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে আমার বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।’
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হলের আবাসিক শিক্ষক মো. বেলাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাকিবের সাথে যোগাযোগ করে তাকে হলে তুলে দেন।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনা জেনে হলের চারজন হাউজ টিউটরকে পাঠিয়েছিলাম। তারা ওই শিক্ষার্থীকে নিরাপদে হলে তুলে দিয়ে এসেছেন। আর তাকে কারা হল থেকে বের করে দিয়েছে সেটার জন্য তদন্ত করবো এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তবে, হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তানভীর শিকদার। তিনি বলেন, ‘তাকে কে বা কারা হল থেকে বের করে দিয়েছে, তা আমি জানি না। বিষয়টি হল প্রশাসন তদন্ত করে বের করুক।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা