বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত ‘এডিসায়েন্টিফিক ইনডেক্স ২০২২’ এ বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর উপাচার্য ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
মঙ্গলবার এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।
সম্প্রতি এডিসায়েন্টিফিক ইনডেক্স বিশ্বের ২১৬টি দেশের ১৫ হাজার ৪৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ লক্ষাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সাইটেশন এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করে। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর উপাচার্য ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন।
কনক্রিট টেকনোলজি, আরবান সেফটি, ক্লাইমেট চেঞ্জ, আর্থকোয়াক ডিজাস্টারসহ শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছেন। ৯ বছর ধরে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি গবেষণার কাজও চালিয়ে গেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইউটি) উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। পরে ২০০০ সালেই ইউনিভার্সিটি অব টোকিও থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে ভূমিকম্প তত্ত্বের (সাইজমলজি) ওপর পোস্ট ডক্টোরাল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত এডিসায়েন্টিফিক ইনডেক্স ২০২১ এ বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় কাজ করার ফলে এ সম্মান অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেলে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন