ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলমান নৈরাজ্য কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাবি সাদা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, বর্তমান ও সাবেক সিনেট সদস্যবৃন্দ।
এ সময় তারা অবিলম্বে ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানীসহ প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগ, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।
সোমবার দুপুরে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তারা ঢাবি ক্যাম্পাসে চলমান নৈরাজ্য কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেইসাথে ক্যাম্পাসে সকল দল ও মতের শিক্ষার্থীদের জন্য সহাবস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। ঢাবি ভিসি সাদা দলের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং প্রতিকারের আশ্বাস দেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সাদা দলের দাবিসমূহ হলো-(১) বিগত কয়েকদিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে চলমান নৈরাজ্য কর্মকাণ্ড বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। (২) দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসকল মামলা হয়েছে সেগুলো তুলে নেয়া বা প্রত্যাহার করতে হবে। (৩) বিগত কয়েকদিনে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ও নেতৃবৃন্দ আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্রতি সমভাবে সংবেদনশীল থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। (৫) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের জন্য অবাধ পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া মৌখিকভাবে সম্প্রতি ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ব্যর্থতার কারণে অবিলম্বে প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানীসহ প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগ দাবি করেন সাদা দলের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনেট সদস্য অধ্যাপত ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও এমএ কাউসার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন