ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ জমা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে ইউজিসি।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগদান করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হলে সরকার দ্বিতীয় দফায় তাকে পুনরায় নিয়োগ দেন। দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ’র বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ বাণিজ্য, নিয়োগে মেধাতালিকা ম্যানিপুলেট করা, সিন্ডিকেট সদস্যদের সন্তানদের চাকরি দিয়ে যোগসাজশ করে বিভিন্ন অবৈধ সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে গত বছরের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মো. হাসানুল ইসলাম।
চিঠিতে আরেক সিন্ডিকেট সদস্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরি স্থায়ীকরণ বিষয়টি সভায় এজেন্ডাভুক্ত করা হয়, কিন্তু এ নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগে কোনো মেধা তালিকা মানা হয়নি। মেধা তালিকায় প্রথমদিকে থাকা অনেকের নাম তালিকায় নিচের দিকে রাখা হয়েছে। মেধাতালিকা অবৈধভাবে ম্যানিপুলেট করার অভিযোগ আনেন এ সদস্য।
চিঠিতে তিনি আরও জানান, বেশ কয়েক সিন্ডিকেট সদস্যের সন্তান এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছে। কারও কারও ছেলে, মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনও চাকরি পেয়েছেন।
মো. হাসানুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলেন, সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্যের যোগসাজশে উপাচার্য নিয়োগ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা অবৈধ।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন