বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। ঢাকার যে উন্নয়ন হচ্ছে তা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে এবং ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের আয়োজনে ‘পদ্মাসেতু নির্মাণে বুয়েটের ভূমিকা’ রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।
সভায় অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু করছেন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। একটি সুন্দর সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন বলেই আজ পদ্মাসেতু রূপ পেয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বুয়েট সবসময় অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই পদ্মাসেতু নির্মাণে ১২০০ প্রকৌশলী এবং ২০ হাজার কর্মচারী কাজ করেছে। এই সেতু আমাদের সাহসের প্রতীক। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। ’৭০ এর নির্বাচনে জাতিগত ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। পদ্মাসেতু সেই জাতিগত ঐক্যবদ্ধ থাকার মতো প্লাটফর্ম। দেশের ৭২ শতাংশের বেশি লোক পদ্মাসেতুর সাথে থাকবে। পদ্মাসেতু আমাদের চিন্তা ও মননে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিন টর্নেডো ছাড়া কোন বাধা সেইদিন জনস্রোত থামাতে পারবে না।
সভায় দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাহসী সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবতা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়। পদ্মাসেতু নির্মাণে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এম এম শফি উল্লাহ, অধ্যাপক ড. আলমগীর মুজিবুল হক, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতসহ অন্য বুয়েটিয়ানদের অবদানের কথা স্মরণ করা হয়। পরে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীসহ ১৫ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর