১১ আগস্ট, ২০২২ ১৪:৫১

সুন্দরবনের বনজসম্পদ নিয়ে খুবি উপাচার্যের গবেষণা গ্রন্থ

খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা স্প্রিংগার প্রকাশ করেছে গ্রন্থটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সুন্দরবনের বনজসম্পদ নিয়ে 
খুবি উপাচার্যের গবেষণা গ্রন্থ

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা স্প্রিংগার থেকে Non-Wood Forest Products of the Sundarbans, Bangladesh: The Context of Management, Conservation and Livelihood শিরোনামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সম্পাদিত একটি যৌথ গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থের অন্য দু’জন সম্পাদক হলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ জেড এম মঞ্জুর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

বইটিতে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ  Non-Wood Forest Products  এর ব্যাপ্তি, ব্যবহার, গুরুত্ব, সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এই গবেষণা-গ্রন্থটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৬৮, চ্যাপ্টার রয়েছে ১১টি, যেখানে এশিয়ার অকাষ্ঠল বিভিন্ন প্রকার বনজ সম্পদের তথ্য, উৎপন্ন বিভিন্ন দ্রব্যাদি ও তার ব্যবহার, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক গুরুত্ব, কর্মসংস্থান, প্রকৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর তার প্রভাবসহ বিভিন্ন ঝুঁকি নিরূপণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।

গ্রন্থটির চ্যাপ্টার-৫ এ ‘Non-Wood Forest Products of the Sundarbans, Bangladesh: The Context of Management, Conservation and Livelihood’ (নন-উড ফরেস্ট প্রডাক্টস অব দ্য সুন্দরবনস, বাংলাদেশ: দ্য কনটেক্সট অব ম্যানেজমেন্ট, কনজারভেশন এন্ড লাইভলিহুড) শিরোনামে ড. মাহমুদ হোসেন এর গবেষণা নিবন্ধ স্থান পেয়েছে। এই চ্যাপ্টারে মূলত সুন্দরবনের অকাষ্ঠল উদ্ভিদ শ্রেণি ও তা থেকে আহরিত বনজ দ্রব্যাদি ছাড়াও এর নানা দিকে আলোকপাত করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে আহরিত গোলপাতা, শন, লতা-গুল্ম, মধু, মোম জাতীয় দ্রব্যাদির ১৯৯১-৯২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত লেখচিত্র সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে শুটকি মাছ আহরণের ২০০১-০২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তথ্য। একইভাবে রয়েছে চিংড়ি-কাঁকড়া, শামুক জাতীয় সম্পদের আহরণের পরিসংখ্যান। তুলনামূলক আলোচনায় উঠে এসেছে এসব দ্রব্যাদির আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব এবং সময়ের সাথে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে উৎপাদনের প্রভাব। সুন্দরবন থেকে রাজস্ব আয়ের একটি চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। সুন্দরবনের ঔষধিবৃক্ষ, লতা-গুল্মের গুরুত্ব স্থান পেয়েছে। কেবল বনজ দ্রব্যাদি নয়, তা আহরণে ব্যবহৃত সামগ্রী, ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থে। সুন্দরবনের প্রাণী ও প্রজাতিভিত্তিক উদ্ভিদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্দরবন থেকে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণের নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবা, লবণাক্ততা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়েও গবেষণাধর্মী তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করা হয়েছে। একই সাথে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণে জীববৈচিত্র্যের ওপর ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অধিকতর বহুমুখী গবেষণা ক্ষেত্রে গবেষক ও তথ্যানুসন্ধানীদের প্রভূত উপকারে আসবে বলে গ্রন্থটির মুখবন্ধে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর