রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সংঘর্ষের প্রতিবাদে ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে ফিরেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি আজ শুক্রবার সকালে তারা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করেন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
অপরদিকে রামেক হাসপাতালে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজপাড়া থানায় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন হাসপাতালের ওয়ার্ড, বিভিন্ন ব্লকের কক্ষের দরজা-জানালা, ফুলগাছের টব ভাঙচুরসহ চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মচারীদের গালিগালাজ, লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে ফিরেছেন। আগের দিন বিকাল থেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি অংশ জরুরি বিভাগে কাজ শুরু করেছিলেন। এখন হাসপাতালের অবস্থা ভালো।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এক ছাত্র আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারপর কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ