চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারামারি করে বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগের পাঁচনেতা অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল ইসলাম জয়, জাকির হোসেন সায়াল, মাহি আহমেদ, ইব্রাহিম সাকিবের বিরুদ্ধে ৪ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারমধ্যে জাহিদ হোসেন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার অন্য দুইজন হলেন এম এ রায়হান, মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র। তারা ৬২তম ব্যাচের ছাত্র।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রধান ছাত্রবাসের বিভিন্ন রুম থেকে এসব ছাত্রদের ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে চমেক ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। অভিযুক্তরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চমেক ছাত্রলীগ নেতা অভিজিত দাশ বলেন, চমেকে একটি সংঘবদ্ধ শিবিরের চক্র কাজ করছে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ অবগত থাকা সত্ত্বেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছিল না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ চকবাজার থানায় দাখিল করা হয়েছে। তাদের কোনো মারধর করা হয়নি। আঘাতের চিহ্নগুলোর বিষয়ে আমরা অবগত নই। হয়তো তারা নিজেরাই এসব নাটক সাজিয়েছে।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, অভিজিৎ একজন বহিষ্কৃত ছাত্র, সে কে এসব করার। যদি এ ধরণের ঘটনা ঘটে তাদের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। অভিজিতের কী অধিকার আছে, সে সব মিথ্যা কথা বলছে। আমাদের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সে এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের জানায়নি।
চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ছাত্রাবাসে নিয়মিত পুলিশের সাথে আরও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আহতরা নির্যাতনকারীদের নাম প্রকাশ করছে না। যার কারণে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, কর্তৃপক্ষও কাউকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল