কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘ জলবায়ু সহনশীল ও উন্নত কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে। একইসঙ্গে কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর গ্রাজুয়েটদেরকে এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।’
রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে চাল, গম, ভুট্টা, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে আছে।’
এর আগে, কৃষিমন্ত্রী চ্যান্সেলরের পক্ষে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এবং সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্নাতক, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১২ হাজার ৮৩৬ জন এবং ৫৫৩ জন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে। অষ্টম সমাবর্তনের আওতায় সকল শিক্ষার্থী হলেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৬ হাজার ৪৬৬ জন এবং পিএইচডির ৫৬ জন রেজিষ্ট্রেশন করায় তারা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেন। এদের মধ্যে ২২৪ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদীয় ডিন ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এএম