কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একাংশের (সদ্য সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের সমর্থিত) নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা বেলতলী বিশ্বরোডে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুলিশ সুপারের অনুরোধে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন মাছুম বলেন, দত্ত হলের তিনজন নেতাকর্মীকে মারধর করার প্রায় তিন ঘণ্টা গড়িয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বহিরাগতরা মারধর করেছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে পুলিশ সুপার মহোদয় এলে অবরোধ কর্মসূচি শেষ করে তারা। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগ কমিটির তিন নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন-কুবির দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।
এদের মধ্যে এনায়েত ও সালমানকে মঙ্গলবার সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে প্রক্টরিয়াল বডির কর্তব্য পালনে বাধা, শিক্ষককে হেনস্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। ছাত্রলীগের স্থানীয় অপর একটি গ্রুপ তাদের উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
