১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০৭:২৫

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

রাবি প্রতিনিধি

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। 

বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি এজহার দায়ের করা হয়েছে। সেটা আমরা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। এই ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ইয়াছির আরাফাত। তিনি রাজশাহীর কাটাখালী উপজেলার আব্দুল বারীর ছেলে। ফিসারীজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আলিফ হোসেন। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আব্দুল খালেকের ছেলে। লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আল শামস তামিম। তিনি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার আরিফুজ্জামানের ছেলে। ফোকলোর বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার সোহরাব আলীর ছেলে। লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শিশির আহমেদ। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সামসুল হোসেনের ছেলে। ইলেক্ট্রনিকস এণ্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফজলুল করিম মাহিন। তিনি পিরোজপুরের আজমল পাশার ছেলে এবং আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (২০১৫-১৬ সেশন) শফিউল্লাহ। তিনি নগরীর মতিহার থানার নকিবুল্লাহর ছেলে।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তিন ইউনিটে অসদুপায় অবলম্বন করে অংশগ্রহণ করেন অভিযুক্তরা। এতে ইয়াছির আরাফাত ও নজরুল ইসলামের হয়ে শিশির আহমেদ, আলিফ হোসেনের হয়ে ফজলুল করিম মাহিন, আল শামস তামিমের হয়ে শফিউল্লাহ প্রক্সি-পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার্থী না হওয়ার সত্বেও এমন অসদুপায় অবলম্বন পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন-১৯৮০ এর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই উক্ত অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা অভিযোগে বলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, গত বছর পরীক্ষা শুরু পূর্বেই ভর্তি কেন্দ্রিক জালিয়াতিসহ যেকোন অসদুপায় অবলম্বন করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কেননা প্রশাসন চায় শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ণ। তাই প্রক্সিকাণ্ডে আটক কয়েকজনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল। এমন অসদুপায় অবলম্বনকারী আরো অনেকে ভর্তি হয়েছে জানার পর বাকিদেরও বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজন ভর্তিচ্ছুর ফলাফল বাতিল করা হয়।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর