রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক সমিতি এক মানববন্ধন থেকে এ প্রতিবাদ জানায়।
গত রবিবার রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন। মানববন্ধন থেকে এ ধরনের হুমকির তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক নেতারা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে যে ভাষায় হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। তাদের এই হুমকির বক্তব্য শুধু জেলা পর্যায়ের একজন নেতার বক্তব্য নয়, এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। সেটির মধ্য দিয়ে তাদের নীলনকশা প্রণয়ন ও সেটির কার্যক্রম শুরু করারই একটি ইঙ্গিত। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। যে ব্যক্তিটি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ভাষায় হত্যার হুমকি দিয়েছে, তা একেবারেই ক্ষমার অযোগ্য একটা বিষয়।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, তাকে হত্যা করে এ দেশকে আবার পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা যারা করছে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজকের এই সমাবেশ থেকে প্রত্যয় ঘোষণা করছে, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার যেকোনো ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন, এটা শুধু তার একক কথা নয়। একটা রাজনৈতিক দলের ভাষা হলো এটি। সুতরাং, এই রাজনৈতিক দলকে নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এমন একটা দলের রাজনীতি করার সুযোগ আছে কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে বলে আমি মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ এই পর্যায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই চান না বাংলাদেশে এমন উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকুক, যার ফলে এ হুমকিগুলো আসছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম অহিদুজ্জামান চান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিত, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিতেশ চব্দ্র বাছার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল